ভাবসম্প্রসারণ : JSC ,SSC, HSC ভাবসম্প্রসারণ জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণী SSC HSC JSC PSC বাংলা ২ য় পত্র

জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণী SSC HSC JSC PSC বাংলা ২ য় পত্র মূলভাব জ্ঞান বা শিক্ষাই মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, যা মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে স্বতন্ত্র মর্যাদা দেয়। জ্ঞান মানুষকে দান করে সম্মান ও মনুষ্যত্ব। সম্প্রসারিত ভাব পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র জীব যার বিবেক-বুদ্ধি আছে। আর বিবেক-বুদ্ধি মানুষকে উপহার দেয় জ্ঞান। জ্ঞানের আলােয় মানুষের হৃদয় আলােকিত হয়। এ আলােকিত হৃদয়ে মানুষের পথ চলা সহজ হয়। বাহ্যিক দৃষ্টিতে মানুষ ও পাখির মধ্যে তেমন কোনাে পার্থক্য নেই। কেবল জ্ঞানই মানুষ ও পশু-পাখির মধ্যে পার্থক্যের সৃষ্টি করে, যা মানুষকে প্রাণপণ চেষ্টায় অর্জন করতে হয়। পশু-পাখির জ্ঞানার্জনের চেষ্টা বা আবশ্যকতা কোনােটাই নেই। এজন্য বলা হয়ে থাকে, পশু-পাখি সহজেই পশু-পাখি। কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় মানুষ। মানুষকে তার মনুষ্যত্ব অর্জন করে নিতে হয়। আর জ্ঞানের সাধনা না করলে মনুষ্যত্ব অর্জন করা যায় না। জ্ঞানই মানুষকে পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্বে উন্নীত করে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানবিক বিকাশ না ঘটে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের আচরণে মহত্ত্বের প্রকাশ ঘটে না। মানবিক বিকাশ যথাযথভাবে ঘটলে বিবেক জাগ্রত হয় এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে অপরের মঙ্গল কামনা করতে শেখে। অপরদিকে, জ্ঞান না থাকলে মেধার বিকাশ ঘটে না। আর মেধার বিকাশ না ঘটলে মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধি লােপ পায়। ফলে তার আচরণ পশুত্বের পর্যায়ে চলে যায়। জ্ঞানী ব্যক্তিরা চিরদিনই জ্ঞানচর্চা করে, জ্ঞানের পিছনে ছুটে বেড়ায়। মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়ােজনে চীন দেশেও যেতে বলেছেন। বাস্তবিকই জ্ঞান ছাড়া মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারে না। জ্ঞানহীন মানুষ নিজের ভালাে-মন্দও বুঝতে পারে না। তারা পশুর মতােই রিপুসর্বস্ব হয়ে পড়ে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর কোনাে ভূমিকা পালন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারা সমাজের পার্থিব জঞ্জাল, পশুর চেয়েও অধম। মন্তব্য জ্ঞানহীন মানুষ আর পশুর মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। নির্বোধ ব্যক্তির জীবন পশুর মতােই নিয়ম-শৃঙ্খলাহীন। Facebook Book : https://www.facebook.com/share/1FpKNNc1dD/ YouTube :: https://youtube.com/@giancarca?si=YACwmnSmv15YVE2A (জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।) ভাবসম্প্রসারণ জ্ঞান যদি উদারতাপূর্ণ না হয়, বুদ্ধি তাহলে আড়ষ্ট হতে বাধ্য। আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে জ্ঞান ও চিন্তার মুক্তি কোনােক্রমেই সম্ভব নয়। জ্ঞান মানবজীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কথিত আছে, জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান। জ্ঞান না থাকলে মানুষ আর পশুতে পার্থক্য থাকে না। মানুষ সৃষ্টির সেরা কারণ মানুষের বিবেক-গান-বুদ্ধি আছে। জ্ঞানের আলােয় মানুষের হৃদয় আলােকিত হয়। এ আলােকিত হৃদয়ে মানুষের পথ চলা সহজ হয়। বাহ্যিক দৃষ্টিতে মানুষ ও পাখির মধ্যে তেমন কোনাে পার্থক্য নেই। কেবল জ্ঞানই মানুষ ও পশু-পাখির মধ্যে পার্থক্যের সৃষ্টি করে, যা মানুষকে প্রাণপণ চেষ্টায় অর্জন করতে হয়। পশু-পাখির জ্ঞানার্জনের চেষ্টা বা আবশ্যকতা কোনােটাই নেই। এজন্য বলা হয়ে থাকে, পশু-পাখি সহজেই পশু-পাখি। কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় মানুষ। মানুষকে তার মনুষ্যত্ব অর্জন করে নিতে হয়। আর জ্ঞানের সাধনা না করলে মনুষ্যত্ব অর্জন করা যায় না। কেবল জ্ঞানই পারে মানুষের সব ধরনের মঙ্গল তথা কল্যাণসাধন করতে। একমাত্র জ্ঞানই পারে মানুষের বিবেক, বুদ্ধি ও চিন্তার বিকাশ ঘটাতে। অন্যদিকে, বুদ্ধির যদি বিকাশ না ঘটে তাহলে হৃদয় হয়ে পড়ে সংকীর্ণ তথা আবদ্ধ। জ্ঞানের প্রসারতা ছাড়া সাংস্কৃতিক অগ্রগতি, শিক্ষার বিকাশ, সভ্যতার অগ্রগতি, আত্মােন্নতি, সামাজিক চিন্তাসহ কোনাে অগ্রগতিই সম্ভব নয়। জ্ঞান মানুষকে আলােকিত করে। আর এই আলােয় আমাদের সকল সংকীর্ণতা ও সীমাবদ্ধতা দূরীভূত হয়। আমরা আপন করে নিতে পারি জগৎকে, মানুষকে। সবাই হয়ে উঠতে পারি একই পরিবারের সদস্য। বস্তুত মানুষের যা কিছু অসম্পূর্ণতা, অশিক্ষা, মূর্খতা, অজ্ঞানতা- সবই জ্ঞানের আলােয় মুক্তি লাভ করতে সক্ষম।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদ

Teknaf সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব স্থান।